জাতীয় সম্মেলন ১২ বছর  শুভ সংঘের সদস্যরাই স্বেচ্ছায় সৈনিক 

সময়ের নিউজ ডেস্কঃ টানা কয়েক দিন থেকে চলছে বৃষ্টি।  আষাঢ়ের এমন প্রকৃতির মাঝে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পিএইচএ অডিটোরিয়ামে ভর্তি এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। কেউ এসেছেন চট্টগ্রাম , কেউ-বা রংপুর  থেকে। মুলত দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজির হয়েছেন এক ঝাক তরুণ শুভ সংঘের সদস্য। একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়নি  এর আগে, কেউ বা অনেক দিন পর। বসুন্ধরা গ্রুপের কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের জাতীয় সম্মেলন ও প্রতিভার খোঁজে বিজয়ীদের পুরুস্কার বিতরণ করা হয়। শুক্রবার (১৭ জুন)  পিএইচএ ভবন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সকাল ৭ টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা কমিটি থেকে  সদস্যরা আসতে শুরু করে এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অডিটোরিয়াম। দুই দিন ব্যাপি  শুভসংঘের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আলোকিত করা হয় চার পাশে। অপর দিকে  তরুণদের নিয়ে কাজ করতে বরাবরই পছন্দ করেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও শুভসংঘের প্রধান ইমদাদুল হক মিলন।
তবে তাঁদের গল্প এক সুতোয় বোনা। তাঁদের সেতুবন্ধনের এই মিলন মেলা কারুকাজটি দীর্ঘদিন ধরে করছেন কালের কণ্ঠ পত্রিকার নীল ও সবুজ হাতের বন্ধন ‘শুভসংঘ’। যার মুল প্রতিপাদ্য ‘শুভ কাজে সবার পাশে’। করোনার প্রভাবে শুভসংঘের বছরের নিয়মিত সম্মেলন হয়নি টানা দুটি বছর। দীর্ঘ সময় পর শুভসংঘ জাতীয় সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠিত হলো। তবে করোনার মাঝেও ছিল শুভসংঘের প্রতিভার খোঁজে। অনলাইনে সারা দেশ থেকে ৪ হাজার ৭৫৭ জন প্রতিযোগিতার মাঝ থেকে ৫৭ জনকে নাচ, গান ও আবৃত্তি, একক অভিনয়, গল্প ও কবিতা লেখাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় পুরস্কার। এর মধ্যে ওপার বাংলার ২০০ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিভার খোঁজে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও দুই দিনব্যাপী শুভসংঘ জাতীয় সম্মেলনের অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন বিশিষ্টি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন। প্রকৃতির বৈরিতা উপেক্ষা করে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সচিব মাসুদুর রহমান মান্না। জাতীয় সম্মেলনের সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করে সফল করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন জাকারিয়া জামান।
 কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে দেশের হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা পাশে থেকে কাজ করছি। ২০০ শিক্ষার্থীর পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছে। আগামীতে ১ হাজার দরিদ্র শিক্ষার্থী বৃত্তি দিয়ে পড়ালেখার দায়িত্ব নেবে বসুন্ধরা গ্রুপ। কালের কণ্ঠ পত্রিকার শুভসংঘ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি সামাজিক সংগঠন। যেখানে ১২ থেকে ১৩ লাখ তরুণ-তরুণী কাজ করছে।

মাসুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। দেশ গঠনে সার্মথ্য অনুযায়ী সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দেশের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে। আর যদি সমাজের সবাইকে সচেতন করতে পারি, তাহলে দেশের সার্বিক উন্নতি সম্ভব। আগামী প্রজন্মকে সচেতনতার বিষয়ে সজাগ করতে পারলে দেশে এগিয়ে যাবে। সেই বার্তা পৌঁছে দিতে শুভসংঘ সংগঠনটি বড় মাধ্যম।