
আরব আমিরাত প্রতিনিধি: প্রথমবারের মতো দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে এবং উৎসাহ দিতে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বায়ান্ন জন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও ৩৯ জন সিআইপির হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় ও আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। অনুষ্ঠানে ইমরান আহমদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য।
প্রবাসীদের এই সম্মানে সম্মানিত করায় আগামীতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রভাব বাড়বে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫২ জন প্রবাসী ও ৩৯ জন সিআইপিকে এ বছর রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আমরা সম্মানিত করছি। এই সম্মানে সম্মানিত হয়ে ভবিষ্যতে বৈধ পথে আরও রেমিট্যান্স বাড়বে।
’ বৈধ ও অবৈধ দুই উপায়েই দেশে রেমিট্যান্স যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কষ্টার্জিত এই রেমিট্যান্স যাতে বৈধ পথে দেশে পাঠানো হয় সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশের অর্থায়নে লাভবান হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।’ অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স প্রসঙ্গ ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। গত চার বছরে ৬৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রতিনিধি ফাতেমা জাহান জানান। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের জেনারেল দুবাই জামাল হোসেন, সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির ও উদ্যোক্তা নাহিদা নিপা।
গত আগস্টে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপর প্রবাসী বাংলাদেশির আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণ শ্রমিকদের দুটি আলাদা ক্যাটাগরিতে ২১ জন, ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে ১৩ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী এবং পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে ১৩ প্রবাসীকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত ৩৯ জন সিআইপিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।