
কাতারের রাজধানী দোহা’র এম গ্র্যান্ড হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও কর্মের উপর তাঁর বিশ্বস্ত সহচর, ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা ও জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট কলামিস্ট ও কবি-সাহিত্যিকদের লেখা সম্বলিত ২৪৪ পৃষ্ঠার চার কালারের একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যাগাজিন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ প্রকাশনা উৎসব করেছে কাতার আওয়ামী লীগ।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশনা উৎসবে কাতার আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন পাশাকে সাথে নিয়ে ম্যাগাজিনটির মোড়ক উন্মোচন করেন কাতারের নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মো: নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র (বঙ্গবন্ধু- বিশ্ববন্ধু)প্রদর্শন করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কয়েকটি দেশের কাতারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত,২৬টি দেশের কূটনীতিবিদ, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, কাতার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা।
দুতাবাসের প্রথম সচিব আবদুল্লাহ আল রাজী পুরো অনুষ্ঠান ইংরেজিতে সঞ্চালনা করেন। ‘মৃত্যুঞ্জয় মুজিব’ সম্পাদনা করেছেন মাহবুবা লাকি। প্রচ্ছদ পরিকল্পনায় শফিকুল ইসলাম প্রধান। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অসীম সাহা।
কূটনীতিকদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের অন্যতম হলেন— ভারতের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব বিপুল, নেপালের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব নরেশ বিক্রম ধাকাল, চায়নার চার্জ দ্য এফেয়ার্স জনাব চেন উয়ি, তুরস্কের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ড. ম. মুস্তাফা গোকসু, সৌদি আরবের মান্যবর রাষ্ট্রদূত প্রিন্স মানসুর বিন খালিদ বিন ফারহান আল-সৌদ। ইথিওপিয়ার মান্যবর রাষ্ট্রদূত ফয়সাল আলি ইব্রাহিম, জাপানের মান্যবর রাষ্ট্রদূত সাতোশি মায়েদা, প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মনির ঘান্নাম, সুইজারল্যান্ডের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মিজ ফ্লোরেন্স টিনগুয়েলি মাত্তি, সুইডেনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত গৌতম ভট্টাচার্য, পর্তুগালের মান্যবর রাষ্ট্রদূত পাওলো নেভেস পোচিনিয়ো, স্লোভেনিয়ার প্রতিনিধি ও তাজিকিস্তান কালচারাল এট্যাশে।
ম্যাগাজিনে যাঁরা বাণী দিয়েছেন তাঁদের অন্যতম হলেন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, জনপ্রশাসন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাণী।
প্রবন্ধ লিখেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী , বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, এইচ,টি ইমাম, তোফায়েল আহমদ, মোনায়েম সরকার, ওবায়দুল কাদের, ড. এ.কে. আবদুল মোমেন, ড. আবদুর রাজ্জাক, সায়মা ওয়াডেদ পুতুল,রামেন্দ্র মজুমদার, আবেদ খান,সেলিনা হোসেন,নূর-উল-আলম লেলিন,মুহম্মদ নুরুল হুদা, মুনতাসীর মামুন,মুহাম্মদ জাফর ইকবাল,অধ্যাপক আ আ ম শ আরেফীন সিদ্দিক,ড. মোহাম্মদ আলী খান, ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জান, ড. ফারজানা ইসলাম, ড. সাদেকা হালিম, মানবর্দ্ধন পাল,স্বপন নাথ ও জুলফিকার ইসলাম, মোজাফ্ফর হোসেন, আসাদুল্লাহ, কাজী নাবিল আহমেদ, নজরুল ইসলাম আজাদ, ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, শফিকুল ইসলাম প্রধান, মোহাম্মদ আবদুল জব্বার, মাহবুবা লাকি প্রমুখ। ইমদাদুল হক মিলন লিখেছেন ‘সোনার মানুষ’ নামের গল্প।
কবিতা লিখেছেন আসাদ চৌধুরী, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব শাহা, অসীম সাহা, কামাল চৌধুরী, আসলাম সানি, শমসুন্দর শিকদার, অঞ্জনা সাহা, নবীরুল ইসলাম বুলবুল, মো: জুলফিকার আজাদ ও আবদুল রহমান।
পড়েছেনঃ ২৮৮