
শামীম আহসান মল্লিক, মোরেলগঞ্জ: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কটে স্বাস্থ্যসেবায় দুরবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৫ লক্ষাধিক উপজেলাবাসী। সঙ্কট সমাধানে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন এ হাসপাতালে শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেও চিকিৎসক ও কর্মকর্তার অভাবে অনেক রোগীদের তারা ঠিকমতো চিকিৎসা দিতে পারছে না। ফলে কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী ছাড়াও বহির্বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারির পদ শূন্য রয়েছে। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে উপজেলাবাসী। ১৬ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৫ লাখেরও বেশি জনগোষ্ঠীর জন্য ৫০শয্যার এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । উপরন্তু ৩৬ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে আছেন মাত্র ৩ জন। ২জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের পদ খালি রয়েছে ৫বছর ধরে। ৬৪জন স্বাস্থ্য সহকারীর বিপরীতে আছে ২৮ জন মাত্র। পরিসংখ্যান কর্মকর্তার পদটি শূন্য। ৫ জন এমএলএসএস পদের বিপরীতে আছে ২ জন। ২ জন আয়া, ২ জন সুইপার ও ১ জন ওয়ার্ড বয়ের পদও শূন্য রয়ে গেছে। নেই অ্যাম্বুলেন্স চালকও। মেরামত হচ্ছে না বিকল হয়ে পড়ে থাকা নৌ অ্যাম্বুলেন্সও। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী জানায়, ৫ জনের কাজ ২ জনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা নাজমুল তালুকদার, শিউলি বেগম, পারভেজ তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসক কম থাকায় বেশিরভাগ রোগীদের আসা মাত্র শহরে স্থানান্তর করে দেয়া হয়। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা শহরের ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। টেকনিশিয়ানের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না অতি জরুরি সরঞ্জামাদি। করোনার আলাদা ইউনিঠ থাকলেও তা নামমাত্র। কেননা প্রয়োজন অনুসারে লোকবল নেই এখানে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট জরুরি হয়ে পড়েছে এখানে। ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে বার বার অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামাল হোসেন মুফতি।