নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া- কুমিরা ঘাটের বর্ধিত ভাড়া আপাতত কমানোর কোন সম্ভাবনা নেই তবে পার্টনারদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হতেও পারে বলে জানালেন ঘাট ইজারাদার এসএম আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান। ওনার মতে ভাড়া বাড়ানোর যে যৌক্তিক ব্যাখ্যা তিনি উপস্থাপন করলেন সেগুলো হলো:
১/পরিবহন খাতে গত কয়েকমাস পুর্বে ৩৭% ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসলেও এতোদিন তারা সেটা না বাড়িয়ে এখন বাড়িয়েছেন। তবে নির্দেশনা আসলেও ওনার খাস কালেকশন প্রদান যেহেতু বাড়েনি তাহলে ভাড়া বাড়ানোর যুক্তি খন্ডন করতে গিয়ে জানালেন-
২/ অকটেন ও ডিজেলের দাম বার বার বৃদ্ধি হলেও ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি
৩/স্টাপদের বেতন ৭ হাজার থেকে ৩৬ হাজার পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়েছে
৪/ ঘাটের খাস কালেকশন গত ১২ বছরে বার বার বেড়ে ৯০ হাজার হলেও ভাড়া বাড়ানো হয়নি
৫/ বিগত সময়ের ইজারাদার ৩৫০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিয়েছেন তখন খাস কালেকশন কম ছিলো কিন্তু তিনি ইজারা নেওয়ার সাথে সাথে ৫০ টাকা কমিয়ে ৩ শ করেছেন এরপর সন্দ্বীপের জনগন ও এমপি মহোদয় ও সংবাদ অনুরোধে ২৫০ এ নামিয়েছেন জন-প্রতিনিধি ও সমাজ কর্মী হিসেবে মানবিক ছাড় ছিলো এটি
৬/ বর্তমানে স্পীর্ড বোর্ড এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মুল্যবৃদ্ধি
৭/ লাশের কফিন সহ লাশের সাথে থাকা কয়েকজন স্বজনের ভাড়া ফ্রি,অনেক ক্ষেত্রে পুরো বোট
৮/জনস্বার্থে বার বার কাঠের ব্রীজ নির্মান নিজস্ব তহবিল থেকে
৯/ উঠা নামার সুবিধা আগের চেয়ে উন্নয়ন ইত্যাদি।
অন্যদিকে জেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া কেন ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাড়িয়েছেন বলে জানান।কিন্তু ওনাদের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি জেলা পরিষদ অস্বীকার করার বিপরীতে ডকুমেন্ট বিহীন এবং কোন ঘোষনা ছাড়া ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে জেলা পরিষদের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
বিভিন্ন সময়ে ঘাট কর্তৃপক্ষের বা সাধারন জনগনের বক্তব্য জিজ্ঞাসা অনুযায়ী ঘাট ইজারাদারের পার্টনার কতজন বা কারা কারা জড়িত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন যেহেতু ইজারাদার আমি তাই তাদের নাম প্রকাশের যৌক্তিকতা বা প্রয়োজন নেই। ভিআইপি বা সাদা টিকেট ধারী ভাড়া বিহীত কারা যাতাযাত করে সাংবিদিকদের এমন এক প্রশ্নে তিনি বললেন ধরে নিন আপনি? তাহলে প্রেসক্লাবের কেউ মে সুবিধা নেয় কিনা সে প্রশ্নে তিনি বলেন এমন মানষিকতা কেউ পোষন করেনি।তাহলে ভিআইপি যাত্রীর ক্যাটাগরি কারা নিধারন করলো সেটার কোন সদোত্তর দেননি। একজন সংবাদ কর্মী প্রশ্ন করেন জনগনের ধারনা সরকারী কয়েকজন সৎ কর্মকর্তা ছাড়া প্রায় প্রতিটি দপ্তরের সকল কর্মচারী থেকে শুরু করে ঝাড়ুদার পর্যন্ত সাদা বা ফ্রি টিকেট পাওয়ার কারনে প্রতি বুধবার সন্দ্বীপ ত্যাগ করে রবিবারে ফিরে আসে। তাই সপ্তাহের প্রায় ৪ দিন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকে বলে জনগন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু যাতায়াতের সে খরচ বহন করতে হয়না বলে তারা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে তাই জনগনের ভোগান্তি বাড়ছে। সে সাদা টোকেন কার নির্দেশে বা কোন অদৃশ্য কারনে দেওয়া হয়েছে প্রশ্ন করলে তিনি অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মিটিং -এ আলোচনা করবেন বলে মতামত প্রদান করেন। ভাড়া কমানোর আন্দোলনের বিপরীতে ভাড়া বৃদ্ধির চলমান প্রতিক্রিয়া ও বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনের ডাকের প্রেক্ষিতে বর্ধিত ভাড়া কমানোর বা পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা সর্বশেষ এমন প্রশ্নে তিনি পার্টনারদের সাথে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে বলে ঘোষনা দেন।