নিজস্ব প্রতিনিধি: কোথাও বিয়ে হচ্ছে- এমন খবর পেলে ছুটে যাচ্ছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তররের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা। হাতে থাকে নতুন বর ও কনের জন্য উপহারের ডালা ( গিফট বক্স)। সুখী, সুন্দর ও পরিকল্পিতভাবে জীবন গড়তে বিয়ে কার্যক্রম সমাপ্তির পরপরই নব দম্পতিদের দেওয়া হয় নানান পরামর্শ। নব দম্পতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহার সামগ্রী ( গিফট বক্স)। এরপর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপস্থিত কর্মীরা নববধূ ও বরকে ধারনা দেন নতুন জীবন সম্পর্কে। বিয়ের পর কিভাবে সুখী জীবন যাপন গড়তে হয় তা নিয়ে চলে আলাপচারিতা। সম্প্রতি উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন ও রত্নাপালং ইউনিয়নে বিয়ের আসরে দেখা যায় এমন চিত্র। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন উখিয়া উপজেলায় কর্মরত জনাব মিহির বড়ুয়া ( পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ) এবং জনাব শামীমা আক্তার কর্তৃক নব দম্পতিকে এমন উপহার সামগ্রী বিতরণের খবর পেয়ে ছুটে আসেন রত্নাপালং ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি: মেম্বার জনাব আবুল হাসনাত। তিনি এমন মহতী কার্যক্রম” বাস্তবায়ন করার জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
কক্সবাজার জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক জনাব ডা: পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য্য বলেন- কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় এ প্রকল্পটির আওতায় পাইলটিং কার্যক্রম চলমান আছে এবং নব দম্পতিদের সুখী জীবন গড়তে, পরিকল্পিত পরিবার গড়তে এই কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধ করতে, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী বৃদ্ধিতে বিভিন্নভাবে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। উখিয়া উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা জনাব জসীমুদ্দিন মো: ইউসুফ বলেন – বিয়ে হওয়ার পর নব দম্পতি কীভাবে জীবন গড়তে হয় তার কোন পরিকল্পনা তাঁদের থাকে না। অপরিকল্পিতভাবে জীবন গঠন করতে গিয়ে শিশু ও মাতৃমৃত্যু মৃত্যু হয়। এটাকে রোধ করার জন্য মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে নব দম্পতিদের জন্য থাকে উপহার সামগ্রী ( গিফট বক্স)। গিফট বক্সে থাকে একটি দেওয়াল ঘড়ি, কিছু বিশেষ জিনিস,, একটি অভিনন্দন পত্র এবং ছোট বই । বইটিতে কীভাবে সুখী জীবন গড়তে হয় এবং কীভাবে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন নিতে হবে তা অত্যন্ত সহজ ভাষায় লেখা থাকে। তিনি আরো বলেন- বর্তমানে উপজেলার ০৫ টি ইউনিয়নে পাইলটিং এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন উখিয়া উপজেলায় কর্মরত জনাব মিহির বড়ুয়া (পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক) বলেন- তাঁর দায়িত্বরত হলদিয়াপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়নে আজ পর্যন্ত ১৪২ টি নব দম্পতিকে উপহার সামগ্রী (গিফট বক্স ) বিতরণ করা হয়েছে এবং নববধূ ও বরকে সুখী জীবন গঠন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ,, শিশু মৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু রোধ, বিয়ের পরপর সন্তান ধারন না করা, ১ম সন্তান জন্মের অন্তত তিন বছর ২য় সন্তান নেওয়া , এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ । আমরা এই উদ্দেশ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। এনজিও সংস্থা পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল এর “সুখী জীবন” কর্মসূচীর আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।