নরসিংদী প্রতিনিধি : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা পুলিশ, নরসিংদীর আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শিশু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে জেলা পুলিশ, নরসিংদীর আয়োজনে অদ্য ১৭ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার নরসিংদী পুলিশ পুলিশ মাঠে বঙ্গবন্ধু শিশু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বেলুন উড্ডয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শিশু উৎসব কর্মসূচী শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শিশু উৎসব-এ নরসিংদী জেলার ৪০টি স্কুল-কলেজের সর্বমোট ৪০০জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার, নরসিংদী কাজী আশরাফুল আজীম, পিপিএম। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আবদুল মোতালিব পাঠান, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, নরসিংদী, প্রফেসর গোলাম মোস্তাফা মিয়া, সাবেক অধ্যক্ষ, নরসিংদী সরকারী কলেজ, ড. মশিউর রহমান মৃধা, অধ্যক্ষ, নরসিংদী ইনডিপেনডেন্ট কলেজ। বঙ্গবন্ধু শিশু উৎসব-এ ১ম শ্রেণী হতে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীগণ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায়, ৬ষ্ঠ হতে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীগণ মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় এবং একাদশ হতে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীগণ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে পাঠ এবং মেগা প্রজেক্টসমূহ ও বর্তমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের উপর কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীসহ সকলের আপ্যায়নের জন্য চিড়া-দই, মিষ্টি, জিলাপী, আইসক্রীম, সিঙ্গারা, আমসত্ত্ব, হাওয়াই মিঠাই ও জুস এর ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫০জন শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ৩০জন শিক্ষার্থীকে মেডেল ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৪০০ শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা স্মরণীয় করে রাখতে ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। শিশুরা বেড়ে উঠুক কল্যাণকামী ও সৌন্দর্যমূলক জীবনবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে। এই স্বপ্ন আমাদের চেতনায় জাগিয়ে দিয়েছেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম শক্তি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম; যারা আজকের শিশু-কিশোর। দেশপ্রেম, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সততা, নিষ্ঠা, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান আহরনের মধ্য দিয়ে আজকের শিশুরা বেড়ে উঠুক পরিপূর্ণরূপে।