ডেস্ক রিপোর্টঃ বয়স ৭০ এর উপর। নিজে ধান কাটতে পারেন না। বদলা নেয়ার টাকা নাই। এ কথা শুনে এক দল তরুণ পৌঁছে যায় তার জমিতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, তার ২০ কড়া জমির ধান কেটে বাড়ির উঠানে পৌঁছে দেয় সেই তরুণরা। পটুয়াখালীর পাতার চরে এরকমই ঘটনা ঘটিয়েছে দূর্বার তারুণ্য এর সদস্যরা।
সেই তরুণরা হলেন দূর্বার তারুণ্য এর কেন্দ্রীয় কমিটি ও পটুয়াখালী জেলা কমিটির সদস্যরা। দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ আবু আবিদ “কৃষক আনন্দ” নামে এই প্রজেক্টটি উদ্ভোদন করেন। এসময় তিনি বলেন, “দূর্বার তারুণ্য এর সকল সদস্যদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দিচ্ছি। যদি ধান কাটা নিজে সম্ভব না হয়, তবে একজন বদলার খরচ বহন করে হলেও অসহায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটানোর ব্যবস্থা করুন।মনে রাখতে হবে, কৃষক বাঁচলে, বাঁচবে দেশ।”
এসময় অসহায় সেই কৃষক বলেন, “বয়স হইছে,ধান কাটতে পারি না। বদলা টাহা চায় বেশি। তাই খুব টেনশনে আছিলাম। হেরা ধান কাইট্টা দেছে। হেগোরে ভাত খাওয়াতে চাইছিলাম, তাও খায় নাই। আল্লাহ তাগোরে বহুত বড় করুক” উক্ত ধান কাঁটার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌকির আহমেদ, মোঃ রাকিব, তানভীর, রবিউল, ফয়সাল, রিফাত, সাকিব, ইমাম, জয়নালসহ পটুয়াখালী জেলার অনেক নেতৃবৃন্দ।
পড়েছেনঃ ১১২