
মাসুদ পারভেজ :রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভারত- বাংলাদেশ স্থলবন্দরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিরে জমে উঠেছে স্থলবন্দরে। সেই সাথে ক্যাফে রূপ কথা ও ভোজন বিলাশ নামক রেস্টুরেন্টে বেড়েছে দর্শনার্থীদের সংখ্যা । দীর্ঘদিন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে প্রায়ই মানুষ বিগত ঈদে ঘর বন্দী ছিলো। এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ না থাকায় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে আন্দন উপভোগ করতে দূর দূরান্ত থেকে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হাজারো দর্শক ছুটে আসছেন রৌমারীর স্থলবন্দরে।
বুধবার ( ৪ মে ) ঈদুল ফিতরের ২য় দিন উপজেলার রৌমারী স্থলবন্দরে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর। এই স্থলবন্দরটি ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত নতুন বন্দর গ্রাম। রাস্তা আর ভারতের সন্ধ্যার সার্চলাইট এবং কয়েকটি ব্রিজের সৌন্দর্যে মুখরিত হয় সকাল আর সন্ধ্যা। অপর দিকে তুরা রোডের পাশে ক্যাপে রূপ কথা ও ভোজন বিলাশ নামে রেস্টুরেন্টে হরেক রকম খাবার খাওয়ার জন্য দূর দূরান্তে থেকে আসছেন অনেকে।
রৌমারীর প্রাণ কেন্দ্র শাপলা মোড় থেকে পূর্ব দিকে ভারত স্থলবন্দর ৪.৫০ কি.মি.। এই ঈদ আনন্দে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য বিজিবির পাশাপাশি রৌমারী থানার পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ঈদের ছুটিতে রাজধানী থেকে গ্রামের বাড়িতে আসা রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার মানুষগুলোর অন্যতম প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে রৌমারীর স্থলবন্দর। রৌমারীর মুক্তাঞ্চলে একটা পর্যটন কেন্দ্র নির্মানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান রৌমারী উপজেলাবাসী।
পাশ্ববর্তী উপজেলা রাজিবপুর থেকে স্থলবন্দরে ঘুরতে আসা নাফিজ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি জানান, বিগত ঈদে লকডাউনে ঘর বন্দি থাকায় ঈদ আনন্দ তেমন করতে পারিনি। তবে এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নেই তাই এই খানে ঘুরতে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে।
উপজেলার চরশৌলমারী থেকে ঘুরতে আসা মাহমুদা আক্তার নামের এক স্টুডেন্ট জানান, রৌমারীতে কোনো প্রকার পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় আমরা বিনোদন করতে পারিনা। তবে এখানে এসে দেখি হাজার হাজার মানুষ ভির করছে আনন্দ উপভোগ করতে।