
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় ত্রান চাওয়া যুবকের বিষ পানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের টান টান উত্তেজনা ছিল সংঘর্ষের আশংকা, ও সি ‘র’ হস্তক্ষেপে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। গত ৬ এপ্রিল বুধবার দুপুর ১ টায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সজীব মিয়া (১৮) নামের এক যুবককে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় সেনাবাহিনীর আয়োজিত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ দেওয়া হচ্ছিল, এরমধ্যে ৯ নং ওয়ার্ডের শালীয়ানি গ্রামের সজীব মিয়া চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার টিটুর কাছে ত্রাণ চায়, চেয়ারম্যান তালিকার বাহিরে ত্রাণ দেয়া যাবে না সজীবকে বললেন, সজীব রাগে উত্তেজিত হয়ে চেয়ারম্যানকে গালাগালি ও অশালীন আচরণ করলে। পরে চেয়ারম্যানের লোকজন সজীবকে ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়, পরে চেয়ারম্যান অফিসে গিয়ে সজীবের বাবা মনজুরুলকে খবর দিয়ে অফিসে এনে ছেলেকে পুলিশে দেওয়ার কথা বললে,একই গ্রামের মেম্বার আলী উছমান চেয়ারম্যানকে সুপারিশ করে সজীবকে ছাড়িয়ে নেন। পারে তার বাবা সজীবকে শাসন করে চড়থাপ্পড় দিলে, পরক্ষণেই বাজারের নয়ন ট্রেডাস থেকে ইদুরের বিষ কিনে সজীব খুব দ্রুত গতিতে বিষ পান করলে, সাথে সাথে আশংকা জনক অবস্থায় পাশবর্তি কলমাকান্দা উপজেলা হাসপাতালে স্পিডবডে পাঠানো হয়,সে এখন চিকিৎসা রত অবস্থায় ভর্তি আছে। চেয়ারম্যান কতৃক সজীবকে মারপিট করেছে এবং অপমান সইতে না পেরে বিষ পান করেছে বলে, সজীব ও তার সজনরা অভিযোগ তুলেছে, এ অবস্থায় ঐ দিন সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান এ-র বিরুদ্ধে মধ্যনগর থানায় সজীবের বাবা মনজুরুল মিয়া বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে সজীবের সজনরা মানববন্ধন ও মিছিল করার ঘোষণা দেয়, পরক্ষনেই প্রতি পক্ষ চেয়ারম্যানের লোকজন জোরু হয়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপ্রেক্ষিতে থানার ও সি জাহিদুল হক খবর পেয়ে পুলিশ ফৌজ নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে উত্তপ্ত পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনেন, এবং বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার বলেন, সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণে সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শালীয়ানী গ্রামের সজীব ত্রাণ চাইতে এসে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে।তখন সেনাবাহিনীর ত্রাণের নৌকা ভাসিয়ে চলে যায়।সজীব কে শান্ত করার উদ্দেশ্যে বলছি তুমি ইউনিয়ন পরিষদে আস।তোমাকে একটা ত্রাণের প্যাকেট দিচ্ছি। তখন সে পরিষদে এসে ইউপি সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তখন আমি সজীবকে পুলিশে দেওয়ার কথা বলি, পরে সজীবের বাবা তার ছেলের অশালীন আচরণের ঘটনার মাফ চেয়ে ও ইউপি সদস্য আলী উছমানের সুপারিশে ঐ ছেলেকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়ে যায়। এখন একটি অসাধু মহল আমাকে হয়রানি করা সহ নানাভাবে ক্ষতি করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছেলের বাবাকে দিয়ে একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। আমি ছেলেটিকে মারধর করিনি। তা স্থানীয় মানুষজনকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।’
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো.জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত সজীবকে মারপিটের ঘটনার সচক্ষে দেখেছে এমনটা কেউ শিকার করেনি।