আদর্শ ও উত্তম চরিত্রের একক অধিকারী ছিলেন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)

আদর্শের সর্বোত্তম মহাপুরুষ ছিলেন মহান রাব্বুল আলামিনের প্রেরিত পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল, দয়া ও উদারতার সর্বোৎকৃষ্ঠ উদাহরণ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে কাজ করেছেন। সঠিক পথের সন্ধান দিতে গিয়ে তিনি অসহ্য যন্ত্রণা, নির্যাতন এবং দেশ ত্যাগ করার মতো পরিস্থিতিতে নিপতিত হয়েছেন।এরপরেও তিনি ক্ষমার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সমগ্র জাতির কাছে এক অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন। যা পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো মনিষীর কাছ থেকে এমন চরিত্র পাওয়া যায়নি।

নামাজ, কালাম, খাবার, দাবার,ঘুম সহ ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এবং রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে তিনি সঠিক পর্যালোচনা, সঠিক ধারণা এবং বাস্তবসম্মত যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে সকল জাতির কল্যাণ ও অগ্রগতিকে দারুণভাবে পরিপূর্ণতা দান করে অনন্য নজির স্থাপন করে। বর্তমান সমগ্র জীবনব্যবস্থা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তাঁর নিয়ম নীতি ও আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক। তিনি ধর্মীয় প্রচারক হিসেবে বিপদগ্রস্ত, পথভ্রষ্ট, অন্যায়ের পথে ধাবিত মানুষদের সঠিক পথে ফিরে আনার অসমান্য কাজে কখনো ক্রোধের বশবর্তী হননি। মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, সর্বোচ্চ সম্মান ও গুরুত্বের মাধ্যমে এসব মানুষদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার কাজে অবদান রাখেন। ব্যক্তিগত আঘাতে নীরব এবং ধর্মীয় আঘাতে ছিলেন কঠিন। তাঁর সর্বোত্তম আচরণের দ্বারা সমগ্র জাতির কাছে তিনি শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান অর্জন করেছেন। যা অন্য কেউ অর্জন করতে সক্ষম হননি।

যুগশ্রেষ্ঠ মহামানব (সাঃ) এর আদর্শ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাদের উন্নত চরিত্র গঠন এবং সামগ্রিক জীবন কল্যাণের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতো সুন্দর জীবনব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও আমাদের উদাসীনতা, অবহেলা ও এড়িয়ে চলার যে মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে তার ফলে আমরা বিপদগ্রস্ত, মানসিক বিকারগ্রস্ততা,অশান্তি ও সর্বক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি শুধু ধর্ম প্রচারক ছিলেননা- মানুষের জীবনবোধ, সামাজিক আন্দোলন এবং রাষ্ট্র গঠন ও সংস্কারে যে অবদান রেখেছেন তা বিশ্ব স্বীকৃত।  সুতরাং তাঁর পবিত্র আদর্শের পথে আমরা ধাবিত হতে পারলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করতে পারবো।

দয়া ও উদারতার  সমুজ্জ্বল প্রদীপে অবতীর্ণ সর্বশেষ নবী (সাঃ) এর জীবনপ্রণালী আমাদের জন্য আদর্শ, অনুকরণ ও অনুসরণের একমাত্র উপায় ও প্রধানতম শক্তি।  তাঁর সৃষ্টি বিষয়ে মতানৈক্য , তাঁর প্রতি অগাধ ভালোবাসা প্রদর্শনের যে চিত্রগুলো বর্তমানে আমাদের সামনে উপস্থাপিত হচ্ছে তা ধর্মীয় দৃষ্টিতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য এবং আলোচনার বিষয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে এসবের মাধ্যমে তাঁর আদর্শকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করার কোনো নমুনা পাওয়া যায়না। তাঁর পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার প্রতি অবিচল শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে সে অনুযায়ী আমাদের জীবনকে সাজাতে পারলে আমরা স্বার্থক জীবনের অধিকারী হতে পারবো