
মাসুদ পারভেজ, রৌমারী (কুড়িগ্রাম): প্রতিনিধি আসছে আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনীয় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে আ‘লীগের নৌকার প্রতীকের সাথে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার রাত আনুমানিক ১২ ঘটিকায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ৬ নং অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মুদাফৎ কালিকাপুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। স্বতস্ত্র প্রার্থীর দুইজন সমর্থককে আটক করে। এব্যাপারে ঢুষমারা থানায় দু পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালের দিকে নটারকান্দি দ্বী-মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন। অপরদিকে অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হকের লোকজন প্রতিপক্ষ টিউবয়েল প্রতীকের তারিপুল্লার লোকজনকে মারপিট ও আ‘লীগের দলীয় অফিস ভাংচুর করার অপবাদ দেন বলে অভিযোগ করেন টিউবয়েল প্রতীকের তারিপুল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমি ৪ বারের নির্বাচিত আনারস প্রতীকের সফল সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন। মাঠ পর্যায়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখে নৌকা সমর্থকরা আমার লোকজনের উপর বার বার হামলা করছে। তিনি আরো নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ইভিএম এর ভোট গ্রহন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি মূলক কথাবার্তা বলছেন। এতে তারা প্রচারনা করে যাচ্ছে ইভিএমএ আনারস প্রতিকে ভোট দিলে নাকি নৌকা প্রতীকে ভোট যাবে। আরো বলেন, আমরা ক্ষমতাশীল দলীয় প্রার্থী। আমরা সারারাতে ভোটের প্রচার প্রচারনা করে যেতে পারবো। তবে অন্য কোন প্রতীকের প্রার্থী এ প্রচারনায় করতে পারবে না। এরই পেক্ষাপটে বিভিন্ন জের ধরে গত ২৩ জানুয়ারী রাতে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গ্রুপের প্রায় ১০ জন গুরত্বর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপেই ঢুষমারা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর মধ্যে আনারস প্রতীকের ২ জন কর্মীকে ঢুষমারা থানার পুলিশ আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। সরকার ও প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তি প্রিয় নির্বাচন দিবেন বলে আমরা দাবী করছি।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে অষ্টমীরচর ১ নং ওয়ার্ড চর মুদাফৎ কালিকাপুর বেলুর মোড়ে ফুটবল প্রতীকের সাধারন সদস্য প্রার্থী ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হকের নেতৃত্বে দলীয় অফিস দখল করে নিজের নির্বাচনী ক্যাম্প করেছেন। প্রতিপক্ষ টিউবয়েল প্রতীকের প্রার্থী তারিপুল্লার ভোটের ব্যবধানে জিয়াউল হকের কম থাকায় টিউবয়েল প্রতীকের কর্মীদের উপর অর্তকিত ভাবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হামলা করে ৩ জন কে গুরুতর আহত করে । পরে বেলুর মোড় আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস ভাঙ্গচুর করে টিউবয়েল প্রতিকের সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী তারিপুল্লার উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। এলাকার লোকজন বলেন, তাৎক্ষণিক ভাবে ঢুষমারা থানা পুলিশ এসে দেখে জিয়াউল হকের নেতৃত্বে দলীয় অফিসের ঘরের ভিতর থেকে এলোপাতারী ভাবে ভাঙ্গচুর করতেছে। এ বিষয়ে টিউবয়েল প্রতীকের সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী তারিপুল্লা বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হকের ভোটের ব্যবধানে আমার অনেক বেশী হওয়ায় এবং আমাকে ঘায়েল করার উদ্দ্যেশ্যে নিজে দলীয় অফিস ভাঙ্গচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।
জিয়াউল হক জানান, তারিপুল্লার লোকজন দলীয় অফিস ভাঙ্গচুর করেছে আমি না। এসআই আশরাফ জানান, বেলুর মোড় দলীয় অফিস ভাঙ্গচুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমারা খবর পেয়ে গিয়ে দেখি কিছু লোকজন অফিসের ভেতরে চিল্লা চিল্লি করছে। পরে তাদেরকে দলীয় অফিস থেকে বের করে দিয়ে শান্তিপূন্য অবস্থা ফিরে আনি। ঢুষমারা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ইমতিয়াজ আলী জানান, নির্বাচনী আইন ভঙ্গের দায়ে দুই জনকে আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।