
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম সবকিছুতে অগ্রণী। বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোর কোন সম্পাদক একুশে পদক পায়নি। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম.এ মালেক দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক প্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রাম যে সর্বক্ষেত্রে অগ্রগামী তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কালুরঘাটস্থ স্বাধীন বেতার কেন্দ্র থেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা পাঠ করেছিলেন জননেতা এম.এ হান্নান। তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলেন, কারো হুইসেলের আওয়াজ কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবে একথা কোন বোকাও বিশ্বাস করবে না। তাই স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা পাঠকারি এম.এ হান্নানের জায়গায় অন্য কারো নাম প্রচার অবান্তর।
গতকাল ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডে চসিক হোমিওপ্যাথিক কলেজ মাঠে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লবের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম.এ মালেক, ভ্যাটেরনারী ও এ্যানিমেল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে একটি স্বার্থন্বেষী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তারা কোন সময় স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে নাই। এখনও সে বিষয় নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত।
তিনি আরো বলেন, অনেক রক্তপাত ও লড়াই সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আর এখন যে সংগ্রাম তা হলো অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রাম। এই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একুশে পদকপ্রাপ্ত সংবর্ধিত অতিথি এম.এ মালেক বলেন, আমার একুশে পদক প্রাপ্তির অর্জনের গৌরব আমার একার নয় পুরো চট্টগ্রামবাসীর। বাঙালির মহান ভাষা আন্দোলনের সাথে আমাদের পরিবারে সম্পৃক্ততা রয়েছে। একুশের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসেনি ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ এই কবিতাটি কোহিনূর প্রেসের ছাপাখানায় ছাপানোর দায়ে আমার মরহুম পিতা আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেন অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের প্রেস ম্যানেজার ও নিকট আত্মীয় দবির উদ্দিন ৬মাসের কারাভোগ করেছিলেন তা আজ ইতিহাসের অংশ হয়েছে বলে গৌরব বোধ করি। তিনি নিজেকে সাধারণ হিসেবে দাবী করেন এবং সাধারণ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারলেই তার জীবন স্বার্থক হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, একুশে পদক প্রাপ্তি আমার জন্য বিস্ময়ের। যারা এ সম্মান আমাকে দিয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক নীতি, আদর্শ ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশ বিস্ময়কর স্থানে জায়গা দখল করুক এই প্রত্যাশা করি। সভাশেষে একুশে পদকপ্রাপ্তদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও এস.এস.সি ও এইচ.এস.সিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মাননা প্রদান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।