
খোলা চিঠি
বরাবর,
সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ
বিষয়ঃ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্ব রাজপথের অনেক শ্রম ত্যাগ এবং প্রচন্ড ধৈর্যশীল নেতৃত্বের ফসল প্রিয় মাহবুবুল হক সুমন ভাই।
দীর্ঘদিন পর যখন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে জন্য কেন্দ্র থেকে রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত সিভি জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হলো। অবাক করার বিষয় হলো শুধুমাত্র সভাপতি সাধারণ সম্পাদক দুটি পদের জন্য ১০৮ জন নিজেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু অনেক দুঃখের বিষয় দলের যখন প্রচন্ড দুঃসময় আসে গুটি কয়েক জন ব্যক্তি ছাড়া কাউকে রাজপথে পাওয়া যায় না।
এখানে একটা যুক্তি অবশ্যই ধার করানো যায়, এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের যে কোন পদের জন্য অনেক বেশি প্রতিযোগিতা হয়। এরপরও দলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে একটা বাস্তব মুখী কথা বলতে হয় যারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ছাত্র রাজনীতি যুব রাজনীতি এবং দলের কঠিন দুঃসময়ে রাজপথে থেকে শ্রম দিয়েছেন দলের জন্য নির্যাতিত হয়েছেন বারবার কারাভোগ করেছেন কঠিন দুঃসময়ে দলের পাশে ছিলেন এবং ব্যক্তিবিশেষ প্রচারবিমুখ থেকে দলের প্রচারণায় নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের হাতে যেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের নেতৃত্বে তুলে দেওয়া হয়। অনেকে বলাবলি করে অমুক ভাই দলের দুঃসময়ে রাজপথে না থাকলেও টাকার বিনিময় কেন্দ্র থেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদ ছিনিয়ে নিয়ে আসবেন কিন্তু মূর্খের দল এটা ভুলে গেছে এটা সেই আগের যুবলীগ নেই।
এটা বর্তমান যুব রাজনীতির বাহক পরশ ভাই এবং নিখিল ভাইয়ের যুবলীগ এবং কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের একটি বর্ধিত সভায় আমি গিয়েছিলাম, সেখানে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সংগ্রামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেত্রী শেখ হাসিনার আরেকজন বিশ্বস্ত হাতিয়ার শেখ নাঈম ভাই স্পষ্ট ভাষায় বলে গেছেন, টাকার বিনিময়ে যুবলীগ করা ছেড়ে দিন টাকা দিয়ে পথ ভাগিয়ে নিবেন সেইদিন শেষ। এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সুতরাং যুবলীগ করতে হলে রাজপথে থাকতে হবে দলের দুঃসময়ে রাজপথে কারা ছিল ছাত্র রাজনীতিতে কাদের অবদান ছিল কারা দলের জন্য নির্যাতিত হয়েছেন শ্রম দিয়েছেন আগামী নেতৃত্বের জন্য তাদেরকেই বিবেচনা করা হবে। টাকার বিনিময় পদ কিনে নিবেন সে আশা ছেড়ে দিন, তাই প্রত্যাশা রাখলাম রাজপথের নেতৃত্বের জয় হবে।
বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই, যখন ২০১৩ সালে দেশব্যাপী বিএনপি-জামাত-শিবিরের লাগাতার জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসলীলায় মেতে ছিল, সেই সময় দলের অনেক সুবিধাভোগী নেতৃবৃন্দ গা ঢাকা দিলেও দলের সেই কঠিন দুঃসময়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের নির্দেশে বিশেষ করে চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে লাগাতার একটানা ৯৬ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে জামাত-শিবিরের বিএনপি’র জ্বালাও-পোড়াও তাণ্ডবের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় থেকে দলের অক্সিজেন হিসেবে চট্টগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ করে আলকরণ সদরঘাট ফিরিঙ্গি বাজার নিউ মার্কেট চত্বর এলাকায় সর্বক্ষণ অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামাতের সেই লীলাখেলা রুখে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
সাবেক ছাত্রনেতা মেধাবী যুব সংগঠক যার হাতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে গেলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগ হয়ে উঠবে দেশের অন্যতম রোল মডেল যুবলীগের ইউনিট সেই পরিশ্রমী যুবনেতা সমস্ত লোভ-লালসার উদ্দে থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ ছাত্র ও যুব রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসা ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব প্রিয় মাহবুবুল হক সুমন ভাইকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে তৃণমূলের প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন করবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি তৃণমূলের কর্মী হিসেবে আমাদের সেই প্রত্যাশাই রইলো।
বিনীত, যুবকন্ঠ চট্টগ্রাম মহানগর।