
ফুলবাড়ীয়া( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজির চালের তালিকায় নাম থাকা সত্বেও কার্ডধারীদের চাল না দেওয়া ও রাতের আধারে চাল অন্যত্র সরানোর অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গ্রাম্য পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যায়।
সরেজিমনে ৯ নং এনায়েতপুর ইউনিয়নে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ইউনিয়নে হতদিরদ্রের ১০ টাকা কেজি ধরে চাল বিক্রির নিয়োগকৃত ডিলার মোঃ হারেজ আলী চলিত এপ্রিল মাসে ৬৫৮ টি কার্ডের বিপরিতে ১৯টণ ৭৪০ কেজি চাউল উত্তোলন করেন সরকারী গুডাউন থেকে। গত কয়েক দিনে বিতরণ সবগুলি কার্ডের চাউল বিতরণ দেখানো হলে বাস্তবে প্রায় ৬০ / ৬৫ জন কার্ডধারী তাদের চাউল পায়নি। রাতের আধাঁরে ডিলারের নিয়োগকৃত গোডাউন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ বস্তা চাউল একটি ছোট মিনি পিকআপ দিয়ে গত শুক্রবার (১৫এপ্রিল)ভোর বেলায় সরিয়ে ফেলেছেন বলে গ্রাম পুলিশ নরেশ চন্দ্রের স্ত্রী জানান। এ সময় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনের প্লাস্টার ভেঙে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নরেশ চন্দ্র দাস ফুলবাড়ীয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার (১৬এপ্রিল) সকালবেলা এসআই হানিফ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন ঘটনার তদন্ত করেন বলে জানা যায়।
৩ নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর গ্রামের কার্ড ধারী মোছাঃ সুফিয়া, দুলাল মিয়া, মোঃ আবু হানিফ এর সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘ প্রায় ৬/৭ মাস যাবত তারা কোন প্রকার চাউল পান না। ডিলার হারেজ আলীর কাছে গেলে কার্ড নেই বলে জানান। সরবরাহ তালিকায় তাদের নাম থাকা সত্বেও চাল না পেয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডিলার হারেজ আলী বলেন, আমি মাইকিং করে ৪ দিন চাল দিয়েছি, কেউ না পেয়ে থাকলে তারা আসলে তাদের চাল দিব। ট্যাক অফিসার উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রায়হান হোসেন বলেন, আমি বিতরন খাতায় স্বাক্ষর করিনি। তদন্ত করে তার পর স্বাক্ষর করবো। এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল হোসেন বলেন, আমি শুনেছি কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে চাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখ জনক। ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট ডিলার পরিষদ থেকে রাতের আধারে চাল বিক্রি করার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। মামলার পক্রিয়া চলছে । ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।