ফুলবাড়িয়ায় চুলকাটা ও স্কুল ড্রেস পড়ার তাগিদ দেওয়ায় অবিভাবক কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছিত ঃ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ফুলবাড়িয়ার রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমান উল্লাহকে বহিরাগত কর্তৃক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জানাযায়, উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের আকরাম হোসেনের ছেলে রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুমন মিয়া গত ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের নিয়মবহিঃভর্‚ত পোষাক পরিধান ও মাথার চুল অস্বাভাবিক রেখে প্রতিষ্ঠানে আসলে মৌলভী শিক্ষক আমান উল্লাহ বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোষাক ও মাথার চুল স্বাভাবিকভাবে ছেটে আসার নির্দেশ দেন। এতে শিক্ষার্থী সুমন শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়।

পরে ১৮ আগস্ট ঐ শিক্ষার্থীর বড় ভাই কলেজ পড়–য়া ইমন তাঁর বন্ধু রোকনসহ কতিপয় বহিরাগত লোক নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের রুমে ডুকে বাক্ধসঢ়;বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্তের মা শরিফা খাতুন স্কুলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে পুত্র (সুমন) কে বলেন তুই এই স্কুলেই লেখা পড়া করবি এবং শিক্ষকদের জুতা পেটা করবি বলেই তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে কামরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক কে জুতা ছুঁড়ে মারে। পরে বহিরাগতরা বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বসে থাকা রাফসানা নামের এক ছেলেকে মারধর করেন। এ ঘটনার পরের দিন অভিযুক্তরা পূনরায় রঘুনাথপুর এলাকার জনৈক লড়ি ড্রাইভারকে ধুরধুরিয়া বাজারে আটকিয়ে রেখে মারধর করে।

এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবীতে ক্লাস বর্জনসহ তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা মিছিল করে পায়ে হেটে প্রায় ১০ কি. মি. দূরে অবস্থিত উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, ঘটনার তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।