চট্টগ্রামঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব। একইসাথে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সংগঠনটি। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটায় সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ইউসুফ খানের নেতৃত্বে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ক্লাবের সদস্যরা।
এসময় তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন। পরে বেলা সাড়ে ক্লাব কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন সকলে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ইউসুফ খান, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হোসেন পলাশ, অর্থ সম্পাদক ফারহান সিদ্দিক, দপ্তর সম্পাদক ইমাম হোসেন ইমন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন, সদস্য শেখ নাদিম, আব্দুল মামুন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ইউসুফ খান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের কাছে যখন পাকিস্তানি পাক হানাদার বাহিনীরা পরাজিত হয়ে যাচ্ছিল। আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তুুতি নিচ্ছিল। ঠিক সেই মুহুর্তে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোষর রাজকার আলবদর, আলশামস বাহিনী তাদের সাথে মিলে বাঙালি জাতিকে মেধা-মননে পঙ্গু করে দেয়ার এক নীল ছক আঁকে। তদনুযায়ী তারা ১৬ ডিসেম্বরের আগে আগে ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করে দিতে মেধাবী সূর্য সন্তানদের হত্যা করে।
তাদের মধ্যে ছিল সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষকসহ অসংখ্য বুদ্ধিজীবী। তবে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোষররা মনে করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মধ্য দিয়ে এ জাতি মেধাশূণ্য হয়ে যাবে। তাদের সেই ধারণা ছিল সম্পূর্ণ ভুল৷ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে এখন পাকিস্তানের চেয়ে অনেক দিকে এগিয়ে রয়েছে। ঘরে ঘরে অসংখ্য মেধাবী সন্তানরা জন্ম নিয়েছে। যারা এ জাতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।