জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে চান আমিরাত প্রবাসীরা

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিদেশে থেকেই ভোট দিতে চান সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিদেশে বসে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল এবং সময় সাপেক্ষ হওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভোট দিতে পারছেন না তারা। আমিরাত প্রবাসীদের দাবি, নির্বাচন কমিশন যেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই এবং আবুধাবি দূতাবাসের মাধ্যমে বা অনলাইনে হলেও সহজতর পদ্ধতিতে যেন ভোটগ্রহণের সুযোগ রাখে। 

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের স্মারকপত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদেরও ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না হয়ে, ভোট দেওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় পোস্টাল ব্যালট। ভোটের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর এলাকার নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসারকে ডাকযোগে আবেদন করা হলে, তিনি নিশ্চিত হয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় নতুন খামসহ ব্যালট পেপার পাঠিয়ে দেন। ভোটার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে রিটার্নিং অফিসারকে নতুন খামে করে তা ডাকযোগে আবার পাঠিয়ে দিতে হয়।

নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সহযোগিতায় চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে আমিরাতের দুটি মিশনেই জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি) জন্যে প্রবাসীদের আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। ফলে জাতীয় পরিচয় পত্র পাচ্ছেন অনেক প্রবাসী। তবে এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
সারাবিশ্বে বিষয়টি দারুণভাবে সাড়া ফেলেছে। কারণ একসময় প্রবাসীদের প্রত্যাশা থাকলেও দেশের বাইরে থেকে এনআইডির জন্য আবেদন ছিল অকল্পনীয়। তাই প্রবাসীরা বলছেন, হয়ত একইভাবে ভোটও দেওয়া যেতে পারে। এতে করে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা প্রবাসীরা।
আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, আমিরাতে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি প্রবাসী ভোটার রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই কাজের কারণে ভোট দিতে দেশে যেতে পারবেন না। ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদেরও ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে।

আমিরাতে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা আল মাশুর গ্রুপের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে এখন আমরা যারা প্রবাসে সহজ পক্রিয়ায় এনআইডি পাচ্ছি, আশা করা যায় আমরা সেভাবে ভোট অধিকারও পাবো।