
মো. তাসলিম উদ্দিন, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০৬টি শিক্ষকের পদ শূন্য। এর মধ্যে ২৭টি প্রধান শিক্ষক এবং ৭২টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ৯ কর্মচারী পদ ও শূন্য রয়েছে বলে জানাযা। সরাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ১০৬টি পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মচারীর ৯ জনের পদশূন্য রয়েছে।গতকাল কয়েক জন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলে কোনো শৃঙ্খলা থাকে না। শিক্ষকরা নিজের ইচ্ছামতো চলেন। এছাড়া একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি দাপ্তরিক কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে পারেন না। সরেজমিনে গেলে কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, শিক্ষকসংকটের কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার ফলে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ঠিকমতো পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। আর করোনা মহামারী তাই বন্ধু ছিল অনেক দিন ধরে এখন বিদ্যালয় খোলা হচ্ছে।এদিকে ১০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা ও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সহকারি শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। সরাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতিও নিজ সরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.শামসুল আলম জানান, প্রধান শিক্ষক ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ঠিক রাখা যায় না। প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের সকল শূন্যপদ পূরণ করা অবশ্যই প্রয়োজন।এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান,প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক পদ পূরণে কর্তৃপক্ষ আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত সংকট কেটে যাবে।করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সমাধান হবে। অফিসে ৯ টি পদ ও শূন্য আছে। কাজ মিলেমিশে করা হচ্ছে। তিনি বলেন,প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণের জন্য ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এই সংকটের সমাধান করা হবে।
পড়েছেনঃ ১১০