
পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি : নওগাঁ জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার দিবর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাহাত জামানের
বিরুদ্ধে করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল ) দুপুরে উপজেলার নকুচা এলাকায় নজিপুর-সাপাহার সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। নকুচা গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দিবর ইউপির চেয়ারম্যান রাহাত জামান, ইউপি সদস্য আকবর আলী, স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম রাববানী, মাহফিজুর রহমান, হামিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার বৈরামপুর মল্লিকপুর গ্রামের তৌফিকুল ইসলাম, মাহফিজুল, ফয়জুল, রাব্বানী সাথে আকবরের দীর্ঘ দিন ধরে দুইদাগে ১২ শতাংশ জমির বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমিরবিরোধ মিমাংসার জন্য গত ৬ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আকবরের দাবি তাঁর অংশের জমি তিনি রাস্তার ধারে নেবেন। অন্য অংশীদাররা তা মানতে রাজি না হওয়ায় বৈঠকে সবার উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের বিচারক দিবর ইউপি চেয়ারম্যান রাহাত জামান দুই দাগে সবার জমি মালিকানা অনুসারে ভাগ করে দেন। কিন্তু আকবর গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ওই দিনই জোর করে জমির দখল তাঁর ইচ্ছে মতো অংশে বুঝে নিতে গেলে ওই জমির অন্য অংশীদারমাহফিজুল, ফয়জুল, রাব্বানী ও তৌফিকুল তাঁকে বাধা দেয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হন। পরে আকবরের ভাই আলমগীর হোসেন সংঘর্ষের ওই ঘটনায় দিবর ইউপি চেয়ারম্যান রাহাত জামান, ইউপি সদস্য আকবর হোসেনসহ প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে পত্নীতলা থানায় মামলা করেন। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান রাহাত জামান ও ইউপি সদস্য আকবরের নির্দেশে প্রতিক্ষ মাহফিজুল, ফয়জুল, রাব্বানী ও তৌফিকুল ইসলাম আকবর ও তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান রাহাত জামানের দাবি, ‘বিবদমান ১২ শতাংশ জমির মালিক পাঁচজন। এর মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৬ শতাংশ জমির মালিক হচ্ছেন তৌফিকুল ইসলাম। আর ক্রয়সূত্রে ৬ শতাংশ জমির মালিক আকবর,মাহফিজুল, ফয়জুল ও রাব্বানী। তাঁরা সবাই
দুই শতাংশ করে জমির মালিক।ওই জমির বাটোয়ারা নেই তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছে। তৌফিকুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সকল পক্ষ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে যৌক্তিকভাবে দুই দাগেই সবার মালিকানা অংশে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আকবরের দাবি, এক দাগেই এবং
রাস্তার ধারের অংশ নিতে চায়। তাঁর মতো কথা মতো সিদ্ধান্ত দেওয়ায় এবং আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারি ঘটনায় আমাকে মিথ্যা হুকুমের
আসামি করে মামলা করেছেন। ওই মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।