
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় ইউনিক আইডির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। স্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ( আই.ই.আই.এম.এস ) প্রকল্পের সরকার প্রণীত সিটিজেন কোর ডেটা স্ট্রাকচারে ( সি.সি.ডি.এস ) শিক্ষার্থীর তথ্য পূরণ ও অনলাইন ডাটা এন্টির নামে প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ ম শ্রেলীর সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেবার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ( আই.ই.আই.এম.এস ) প্রকল্পের আওতায় ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষা সংক্লান্ত যাবতীয় তথ্য থাকবে। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এই আইডি জাতীয় পরিচয়পত্রে ( এন.আই.ডি ) রূপান্তরিত হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোন নিয়ম নেই।
গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, ইউনিক আইডির জন্য আমাদের সকলের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছে। টাকা চেয়েছে আমরা দিয়েছি। এখন টাকা উঠাতে পারবে কিনা সেটা আমাদের জানা নেই।
অভিভাবকরা জানায়, ছেলে- মেয়েরা আমাদেরকে বললো ইউনিক আইডির জন্য স্কুলে ৫০ টাকা লাগবে। আমরা তখন বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে জানতে পারি ইউনিক আইডি বাবদ টাকা উঠানো হচ্ছে। আমরা কিছু না বুঝেই টাকা দিয়ে দেই। যদি জানতাম এই আউনিক আইডি বাবদ কোন টাকা লাগেনা তাহলে আমরা কখনোই দিতাম না। যেহেতু ইউনিক আইডির জন্য সরকার টাকা দিচ্ছে তাহলে প্রধান শিক্ষক কোন ক্ষমতাবলে – কি আইনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উঠাতে পারে? এমন অনিয়ম ও দূর্ণীতির তদন্ত অনুযায়ী কঠোর শাস্তির দাবি আমরা করছি।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক শর্তে গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক স্টাফ বলেন, ইউনিক আইডি বাবদ সরকার শিক্ষার্থী প্রতি ৩০ টাকা করে দিয়েছে তবুও কি কারণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে উঠানো হয়েছে তা আমার জানা নেই।
অভিযুক্ত গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা নেবার বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, ইউনিক আইডি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি।
এবিষয়ে মাধ্যমিক একাডেমী সুপার ভাইজার বলেন, ইউনিক আইডির জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ৩০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কোন প্রতিষ্ঠান ইউনিক আইডির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা গ্রহণ করতে পারবে না। কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে টাকা পয়সা আদায়ের অভিযোগ পেলে তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিটন সরকার বলেন, ইউনিক আইডি বাবদ টাকা উঠানোর বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি কোন প্রতিষ্ঠান এমন অনিয়ম করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।