বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন হলেই শুরু হয়, নানা কুট কৌশল। ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পৌর আর উপজেলা কমিটিতে নিজেদের পছন্দের মানুষদের পদ পদবীতে বসাতে তৎপর হয়ে উঠে উপজেলায় আওয়ামিলীগের তিনটি গ্রুপ। এরই ধারাবাহিকতা আগামী ১৬ মে সোমবার বেলকুচি পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন কেন্দ্র করে ১০ জন প্রাথী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এরই মধ্যে দলীয় ফরম বিতরন কালে একই অভিযোগ তিন জন থাকলেও দলীয় নিয়ম ভাঙ্গার অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুল আজাদ তারেককে অযোগ্য ঘোষনা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে বেলকুচির রাজনীতি বহুদিন থেকেই বিভক্তির কারনে তাকে এ ফরম দেওয়া হয়নি। এদিকে আগামী ১৬ মে সোমবার বেলকুচি পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। মূল দলের বর্তমান সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বিগত নানা নির্বাচনে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে যারা কাজ করেছে। তাদের দলের কোন মূল পদে আসতে পারবেনা, এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে বিগত পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বাইরে নির্বাচন করার জন্য তারেকের প্রার্থীতা বাতিল করে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলখোশ আলী প্রামানিক ও সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক সরকার। অভিযোগ রয়েছে বিগত এই পৌর নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী সাহাদত হোসেন মুন্না ও সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মজিদ প্রামানিক এরা দুই জনই পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বাইরে আনারস প্রতিকের হয়ে নির্বাচনের প্রচরনা করেন। অথচ তাদের এ সকল অনিয়ম থাকলেও তাদেরকে প্রার্থী ফরম দেওয়া হয়। এদিকে এ সকল প্রতিবাদে মাহবুবুল আজাদ তারেক আজ শনিবার বিকালে বেলকুচি প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, জেলার নেতৃবৃন্দকে ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। একই দোষে অপর দুই প্রার্থী ইতিমধ্যেই তাদের ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাকে কেন নির্বাচন করতে দেয়া হবেনা। বিনয়ের সঙ্গে জেলা সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চেয়েছেন। এ নিয়ে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলখোশ আলী প্রামানিক জানান, যা করা হচ্ছে তা দলীয় সিদ্ধান্তেই করা হচ্ছে। আর সাধারণ সম্পাদক জানান, তারেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হবার কারনেই তাকে নির্বাচনী ফরম দিতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জেলার কোন নেতা কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।