সিলেটকে স্মার্ট ও আধুনিক শহর করতে সকল সহযোগিতা করা হবে – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিলেটের উন্নয়নে সরকার সবসময় আন্তরিক। সীমাবদ্ধতা স্বত্বেও সিলেটের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। সিলেটকে একটি স্মার্ট ও আধুনিক শহরে পরিণত করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভব সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি আজ নগরীর দক্ষিণ সুরমার একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে তাঁকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম সিলেটে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। মাঝে স্বাধীনতা বিরোধী সরকার ক্ষমতায় আসায় উন্নয়ন থমকে গিয়েছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া অনেকগুলো প্রকল্প বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেগুলো আবার শুরু করেছে। যার উপকার এদেশের মানুষ ভোগ করছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের জন্য একজন সঠিক নেতা খুঁজে এনেছেন। আমাদের দেশে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার লোকের বড়ই অভাব, এক্ষেত্রে সিলেটের মেয়র মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন দায়িত্বশীল মানুষ। সিলেটের মানুষ মেয়র হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নির্বাচিত করায় সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তাঁর কাজ করার মানসিকতা রয়েছে। তিনি কাজ করতে পারবেন। সরকার সিলেটের উন্নয়নে সব ধরণের সহযোগিতা করবে। সিলেটে দিনের শুরুতেই মন্ত্রী সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন করেন। ওয়াকওয়ে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, জন আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যেকোনো দলের কর্মসূচিকে স্বাগত জানালেও ধংসাত্মক কার্যক্রম দমন করা হবে। কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দল যদি ধ্বংসাত্মক ও গণবিরোধী কোনো কার্যক্রম করে, তাহলে সরকার সংবিধান অনুযায়ী কঠোরভাবে তা দমন করবে। পরে তিনি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজিরবাজার বৈঠা খাল পরিদর্শন, নবনির্মিত কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন, লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সিসিকের এম.আর.এফ প্ল্যান্ট পরিদর্শন ও ফলক উন্মোচন, সিসিক পরিচালিত কুমারপাড়াস্থ ওসমান মিয়া মার্চেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন, আরবান রেসিলিয়েন্সের আওতায় নির্মিত নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন ও জালালাবাদ পার্কে সিসিক কর্তৃক আয়োজিত বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনে সিসিকের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা বিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ৮টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সিলেট আসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এসময় তাঁকে স্বাগত জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পেরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।